মেক্সিকোতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১৬


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ২:১৯ অপরাহ্ণ / ৮১
মেক্সিকোতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১৬

ঢাকাঃ উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় জাকাতেকাস প্রদেশের পৃথক দু’টি স্থান থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার পুলিশ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দেশটির ফ্রেসনিলো পৌর এলাকায় ১০ জনের মরদেহ এবং প্যানফিলো নাটেরা এলাকায় বাকী ৬ জনের মরদেহ পাওয়া যায়।

জাকাতেকাস প্রদেশের প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার হওয়া দু’টি স্থানেই তদন্ত কাজ চলছে।

সম্প্রতি জাকাতেকাস রাজ্যে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের অবৈধ পথ রয়েছে এই রাজ্যে। ফলে এ নিয়ে সিনালোয়া এবং জেলিস্কো নিউ জেনারেশন নামে দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসের শুরুতেও জাকাতেকাস প্রদেশের রাজধানী থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মূলত প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে ফেলে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে সেসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গত বছরের জুন মাসে একই প্রদেশের ভালপরাইসো এলাকা থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দু’টি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছিলেন বলে সেসময় জানানো হয়েছিল।

সহিংস অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মেক্সিকোতে বেড়েই চলেছে। এছাড়া জাকাতেকাস প্রদেশেও এ ধরনের ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। এর পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক পাচারকারী গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অনেক সময় ক্ষমতা ও স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র দলগুলোও একে অন্যের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।

কেবল জাকাতেকাস প্রদেশে সহিংস অপরাধের ঘটনা যেন একেবারেই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের প্রথম ১০ মাসে জাকাতেকাস প্রদেশে এ ধরনের সহিংসতায় ৯৪৮ জন নিহত হয়েছেন। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিনশো বেশি।

১০ বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো ‘মেরিডা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কর্মসূচির অধীনে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে মেক্সিকোর নিরাপত্তাবাহিনীকে।

Spread the love
Link Copied !!