বাডিজ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : আগস্ট ৬, ২০২২, ১০:১০ অপরাহ্ণ / ৯৬
বাডিজ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়

বাডিজ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়। বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাডিজ) গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়। কারণ, বাডিজ’র মাধ্যমে দেশের নাগরকিদের ভূমি সংক্রান্ত র্দীঘ মেয়াদি হয়রানি ও বিপুল র্অথব্যায় রোধ সম্ভব।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অতিসম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রচলিত পুরনো পদ্ধতিতে জরিপ কাজের দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন ও জনগণের হয়রানি কমানোর জন্য ডিজিটাল জরিপ করার নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাডিজ) বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) নামে সর্ম্পূন নতুন ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বুধবার (৩ আগস্ট-২০২২) পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার‌্যালয় সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশে ডিজিটাল জরিপের (বাডিজ) পাইলটিং উদ্বোধন করনে।

আজ শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভূমি জরিপ (ভূ-সম্পদ জরিপ/ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) ঠিকভাবে না হলে তা ব্যক্তি ও পারিবারিক পর‌্যায়ে এক র্দীঘ মেয়াদী সংকট ডেকে আনে। ভূমি জরিপের সময় মাঠ র্পযায়ের অসৎ কর্মকর্তা ও অসাধু ভূমির মালিক, দালাল কিংবা ভূমি দস্যুর যোগসাজশে ইচ্ছাকৃত অসঠিক জরিপ কিংবা নিছক অসাবধানতাজনিত ত্রুটিপুর্ণ জরিপের কারণে প্রকৃত মালিক ব্যতীত জমি অন্য ব্যক্তির নামে কিংবা সরকারে নামে চলে গেলে তার নিষ্পত্তিতে মামলা-মোকদ্দমা পর‌্যন্ত করতে হয়।

আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই

ভূমি সংক্রান্ত অনেক মামলা ৫০ থকেে ৬০ বছরেও নিষ্পত্তি হয়না। এ ধরণের মামলা চালাতে গিয়ে অনেক পরিবার কয়েক থেকে প্রজন্মান্তরে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন এবং হচ্ছেন। অনেক সময় মামলার খরচ বাদি-িবিবাদী-পক্ষের মাসিক অর্থনৈতিক আয়কে অতিক্রম করে বিপরর‌্যয়কর মামলা-মোকদ্দমা ব্যযে অনেক পরিবার নিঃস হয়ে যায়। এসব মামলা-মোকদ্দমার অন্যতম সূত্রপাত অসঠিক ভূমি জরিপ।

এছাড়া, প্রচলতি ভূমি জরিপের আরকেটি সমস্যা হচ্ছে এর দীর্ঘসূত্রিতা। বিভিন্ন কারণে একেকটি জরিপ শেষ হতে ২০/২৫ বছরের বেশী সময় লেগে যায়। ভূমির মালিকানা ও অধিগমনে দরিদ্র, ভূমিহীন, প্রান্তিক, মহিলা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কৃষি ভূমি ও জলার রক্ষা ও সংস্কার প্রয়োজন। ভূমি খাত সংস্কারেখাস জমি এবং চর গরিব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ, শত্রু এবং অর্পিত সম্পত্তি
ফিরিয়ে দেওয়া, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ন্যায্য র্স্বাথ নিশ্চিত করা, নারীদরে জমি মালকিানার অধিকার নিশ্চিত করা, বঞ্চিত জনগণের সেবা প্রদানের জন্য ভূমি আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ভূল ও সঠিক জরিপ অত্যাবশ্যক।

Spread the love
Link Copied !!