প্রেমিকার অফুরন্ত ভালোবাসা পেলেও কেন অন্য মহিলার প্রেমে মাতেন অনেক পুরুষই?


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : আগস্ট ৯, ২০২২, ১:৫৩ অপরাহ্ণ / ১২৩
প্রেমিকার অফুরন্ত ভালোবাসা পেলেও কেন অন্য মহিলার প্রেমে মাতেন অনেক পুরুষই?

প্রেমিকার অফুরন্ত ভালোবাসা পেলেও কেন অন্য মহিলার প্রেমে মাতেন অনেক পুরুষই? সম্পর্কের ভিত তৈরি হয় বিশ্বাস ও ভালোবাসায়। দুজন মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করেন বলেই তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন(Relationship) আরও মজবুত হয়। একে অপরের পাশে থাকতে পারেন। ভরসার কারণ হয়ে উঠতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও যেমন এই বন্ধন এভাবেই মজবুত হয়, আবার প্রেমিক প্রেমিকার ক্ষেত্রেও এর কারণ আলাদা কিছু হয় না।

ঠিক এই ভালোবাসা ও বিশ্বাসে ভরসা করেই সম্পর্ক মজবুত হয়। কিন্তু একজন সঙ্গী যখন দেখেন তাঁর ভালোবাসার মানুষই তাঁকে ঠকালেন(Cheating in Relationship), তখন মনে আঘাত লাগে সবথেকে বেশি! কী কারণে হয় এমন? কী কারণে নিজের ভালোবাসার প্রেমিকাকে ছেড়ে অন্য মহিলার দিকে ছুটে যান পুরুষেরা? কেন ঠকান প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড? উত্তর খুঁজলাম আমরা…

সম্পর্ক শুরুর সময়ে একে অপরের প্রতি এক অদ্ভুত টান ও আকর্ষণ কাজ করে। এই আকর্ষণের জোরেই একে অপরের সঙ্গে তৈরি হয় সম্পর্ক। শুরু হয় পথচলা। কিন্তু সম্পর্কে সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের খারাপ দিকগুলোও আমাদের প্রকাশ্যে আসতে থাকে।

এই সময়েই যখন একজন পুরুষ দেখেন, প্রেমিকার লক্ষ্যর থেকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য অনেকটাই আলাদা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব। এক সময় প্রেমিকাকে ছেড়ে যেতে দুবার ভাবেন না অনেক পুরুষই।

আসলে সম্পর্ক ঠিক থাকলে সেই প্রেমিকাকে ছেড়ে যাওয়া ইমম্যাচিওরিটির প্রকাশও বটে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিজেদের মধ্য়ে চিন্তা ভাবনা করার শক্তি তৈরি হয়। নিজেই বুঝতে পারি কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। কিন্তু বয়স কম থাকলে বা চিন্তাভাবনা অতটাও পাকাপোক্ত না হলে এই সমস্যা তৈরি হয়।

কীভাবে? আপনার প্রেমিকের আশপাশের লোকজন যদি আপনাকে নিয়ে তাঁর কানে নানা কথা তুলতে থাকেন, তবে তার প্রভাব সম্পর্কে পড়েন। এক সময় হয়তো প্রেমিক আপনাকে ছেড়ে অন্যের কাছে চলে গেলেও যেতে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রেই এটা হয় না।
দীর্ঘদিন ধরে এক সম্পর্কে থাকার পরে আর নতুন করে সেই সম্পর্ক থেকে কিছু পাওয়ার নেই বলে মনে করেন অনেক পুরুষই। একটা বয়স পর্যন্ত চিন্তাভাবনা এরকম থাকতেই পারে। বয়স বাড়লে ম্যাচিওরিটি আসে। সেই সময় সঙ্গী নির্বাচন ও সঙ্গীর প্রতি লয়্যাল থাকার জন্য বিভিন্ন বিচক্ষণতা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়।

বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাঞ্জন পানের মতে, দুজন মানুষের সেই মুহূর্তে যে সম্পর্কে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন ও ইনভেস্ট করা প্রয়োজন। তাতে সময় দেন না। বরং সেই একই অনুভূতি নতুন সম্পর্ক থেকে পাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, শ্রম দিতে রাজি নন কেউ। যে সম্পর্ক তৈরি হয়ে আছে তাকে মজবুত করার চেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করি। মূল্যবোধের শিক্ষা ছোট থেকে না থাকলে এই ভুল বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।

আরও পড়ুন:জেনে নিন আপনাদের পছন্দের সেলেব কিডদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর


সম্পর্কের ভিত তৈরি হয় বিশ্বাস ও ভালোবাসায়। দুজন মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করেন বলেই তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন(Relationship) আরও মজবুত হয়। একে অপরের পাশে থাকতে পারেন। ভরসার কারণ হয়ে উঠতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও যেমন এই বন্ধন এভাবেই মজবুত হয়, আবার প্রেমিক প্রেমিকার ক্ষেত্রেও এর কারণ আলাদা কিছু হয় না।

ঠিক এই ভালোবাসা ও বিশ্বাসে ভরসা করেই সম্পর্ক মজবুত হয়। কিন্তু একজন সঙ্গী যখন দেখেন তাঁর ভালোবাসার মানুষই তাঁকে ঠকালেন(Cheating in Relationship), তখন মনে আঘাত লাগে সবথেকে বেশি! কী কারণে হয় এমন? কী কারণে নিজের ভালোবাসার প্রেমিকাকে ছেড়ে অন্য মহিলার দিকে ছুটে যান পুরুষেরা? কেন ঠকান প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড? উত্তর খুঁজলাম আমরা…
দুজনের লক্ষ্য আলাদা
সম্পর্ক শুরুর সময়ে একে অপরের প্রতি এক অদ্ভুত টান ও আকর্ষণ কাজ করে। এই আকর্ষণের জোরেই একে অপরের সঙ্গে তৈরি হয় সম্পর্ক। শুরু হয় পথচলা। কিন্তু সম্পর্কে সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের খারাপ দিকগুলোও আমাদের প্রকাশ্যে আসতে থাকে।

এই সময়েই যখন একজন পুরুষ দেখেন, প্রেমিকার লক্ষ্যর থেকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য অনেকটাই আলাদা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব। এক সময় প্রেমিকাকে ছেড়ে যেতে দুবার ভাবেন না অনেক পুরুষই।

নানা জনের কথায় প্রভাবিত হন

আসলে সম্পর্ক ঠিক থাকলে সেই প্রেমিকাকে ছেড়ে যাওয়া ইমম্যাচিওরিটির প্রকাশও বটে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিজেদের মধ্য়ে চিন্তা ভাবনা করার শক্তি তৈরি হয়। নিজেই বুঝতে পারি কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। কিন্তু বয়স কম থাকলে বা চিন্তাভাবনা অতটাও পাকাপোক্ত না হলে এই সমস্যা তৈরি হয়।

কীভাবে? আপনার প্রেমিকের আশপাশের লোকজন যদি আপনাকে নিয়ে তাঁর কানে নানা কথা তুলতে থাকেন, তবে তার প্রভাব সম্পর্কে পড়েন। এক সময় হয়তো প্রেমিক আপনাকে ছেড়ে অন্যের কাছে চলে গেলেও যেতে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রেই এটা হয় না।

…কারণ তাঁরা আর সম্পর্কে থাকতে চান না

দীর্ঘদিন ধরে এক সম্পর্কে থাকার পরে আর নতুন করে সেই সম্পর্ক থেকে কিছু পাওয়ার নেই বলে মনে করেন অনেক পুরুষই। একটা বয়স পর্যন্ত চিন্তাভাবনা এরকম থাকতেই পারে। বয়স বাড়লে ম্যাচিওরিটি আসে। সেই সময় সঙ্গী নির্বাচন ও সঙ্গীর প্রতি লয়্যাল থাকার জন্য বিভিন্ন বিচক্ষণতা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়।

বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাঞ্জন পানের মতে, দুজন মানুষের সেই মুহূর্তে যে সম্পর্কে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন ও ইনভেস্ট করা প্রয়োজন। তাতে সময় দেন না। বরং সেই একই অনুভূতি নতুন সম্পর্ক থেকে পাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, শ্রম দিতে রাজি নন কেউ। যে সম্পর্ক তৈরি হয়ে আছে তাকে মজবুত করার চেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করি। মূল্যবোধের শিক্ষা ছোট থেকে না থাকলে এই ভুল বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।

মানুষ বহুগামী তাই

সল্টলেক মাইন্ডসেটের ডিরেক্টর বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাঞ্জন পানের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এই প্রবণতা দুজনের মধ্য়েই রয়েছে। এই কারণে প্রেমিক বা প্রেমিকা সঙ্গীকে জীবনের কোনও এক সময়ে গিয়ে ঠকাতে পারেন।

চিকিৎসক দেবাঞ্জন পানের মতে, আসলে মানুষ স্বভাবে বহুগামী(Polygamous)। আদিমযুগে পশুর মতোই আচরণ করত। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর স্বভাবে পরিবর্তন হয়। মানুষের মস্তিষ্ক উন্নত হয়। সেই কারণেই আজ আমরা এতটা উন্নত। আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশে রয়েছে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। যা আমাদের নীতিবোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে বিচক্ষণ হতে সাহায্য করে। তাই এখন মানুষ সম্পর্কের মূল্যবোধ দিতে শিখেছেন।

একজন সঙ্গীর প্রতি লয়্যাল থাকতে শিখেছেন। কিন্তু স্বভাবগত দিক থেকে তো তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। একজন মানুষ সারাজীবন এক সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে পারেন। কিন্তু বিচক্ষণতার অভাবে যখন তাঁর প্রাকৃতিক চরিত্র তাঁকে ডমিনেট করে, সেই সময়েই অন্য মানুষের প্রতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকে যায়। মানুষ সঙ্গীকে ঠকায়। তাই আমি সঙ্গীকে প্রতারণা করব নাকি সম্পর্কে লয়্যাল থাকব, এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে।

আসলে যাঁর মধ্য়ে এই প্রতারণা করার প্রবণতা থাকে, তিনি ঠকাতে পারেন। বিষয়টা খুবই সহজ। আপনি যাঁর সঙ্গে ডেট করছেন, তাঁর আগের প্রেমিকাকে (দের) কি আপনি চেনেন? আপনি কি নিশ্চিত যে, তিনি আগের কোনও প্রেমিকাকেও ঠকাননি? কারণ, একজন পুরুষ যখন একবার ঠকাচ্ছেন, দুবার ঠকাচ্ছেন বা তিনবার…তিনি ভবিষ্যতে আবারও ঠকানোর আগে দুবার ভাববেন না। তাই ভেবেচিন্তে এগনোই ভালো।

তবে সব বয়ফ্রেন্ডই সমান নয়। সবার ঠকানোর কারণ এক নয়। সবার নিজের যুক্তি আছে। প্রত্যেকের চিন্তাভাবনাকেই আমরা সম্মান করি। কিন্তু একটি সম্পর্কে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের ভিত তৈরি হওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকেও লক্ষ্য রাখা ও সম্পর্কের প্রতি বা প্রেমিকার প্রতি দায়িত্ব পালন করাও উচিত।

Spread the love
Link Copied !!