টান টান উত্তেজনা ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিল বলে ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছে : আইজিপি


টি আই শাহীন
প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ৭:২১ অপরাহ্ণ / ১০১
টান টান উত্তেজনা ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিল বলে ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছে : আইজিপি

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দর্শকদের ভালোবাসা জয় করতে পেরেছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। মুক্তির পর থেকে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছে ছবিটি। দুই ঘণ্টা ২১ মিনিট দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখাটাও ছবিটির একটা সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, ছবিটি ঝুলে যায়নি। টান টান উত্তেজনা ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিল বলে ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছে। ভিএফএক্স, সাউন্ড কোয়ালিটি, শিল্পীদের অভিনয়, কলাকুশলীদের মুন্সিয়ানায় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিটি একটি ভিন্নধর্মী ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের কাতারে স্থান পেয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ডলবি শো দেখার পর এসব কথা বলেন আইজিপি।

 

আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের র‍্যাব ট্রুপস ও অফিসাররাও দুর্দান্ত কাজ করেছে। নানামাত্রিকতায় অপারেশনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটি না দেখলে বোঝা যাবে না আমাদের অফিসাররা কত চৌকস ও তারা কত পরিশ্রম করতে পারে। দর্শকরা ছবিটি গ্রহণ করেছে এটাই আমাদের বড় সাফল্য।

‘অপারেশন সুন্দরবন’ নির্মাণের গল্প উল্লেখ করে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনের শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অপারেশন শুরু করে র‍্যাব। অফিসার ও ট্রুপসদের দক্ষতা ও চৌকস অপারেশনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত করা হয়। আর সেই সাফল্যগাঁথা ফ্রেমে ফ্রেমে জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বানানোর পরিকল্পনা করি। তবে মাত্র একটি ছবিতে র‍্যাবের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব না। আমি মনে করি, এই ছবিটি র‍্যাবের বহু সাফল্যের একটা অংশ।

তিনি বলেন, ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনার পরে দীপনকে বললাম তুমি সুন্দরবনে যাও, সেখানে থাকো, সেখানকার ভাওয়ালি, মধু সংগ্রহকারী, জেলেসহ সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলো এবং সেসব নিয়ে স্ক্রিপ্ট করো। দীপন তাই করলো। স্বাধীনতার পর প্রায় চল্লিশ বছর যাবত জলদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল সুন্দরবন। র‍্যাব সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত করার পাশাপাশি একটি গুনগত মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র উপহার দিতে পেরেছে।

আইজিপি আরও বলেন, এর আগে দীপংকর দীপনকে দিয়ে যখন ‘ঢাকা এটাক’ নির্মাণ করি তখন আমি পুলিশ কমিশনার। ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখন আমি র‍্যাবের ডিজি। আর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বানানোর পরিকল্পনার সময় আমি র‍্যাবের ডিজি আর ছবিটি মুক্তির সময় আমি পুলিশের আইজি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র‍্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ পরিচালক মেজর রইসুল আযম, নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী তানজিকা, এস এ হক অলিক, অভিনেত্রী ও নির্দেশক হৃদি হক, রায়হান রাফি ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

Spread the love
Link Copied !!