অজ্ঞান করে ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য গ্রেফতার


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ২:০৩ অপরাহ্ণ / ১৩৬
অজ্ঞান করে ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য গ্রেফতার

রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীতে চালককে অজ্ঞান করে অটোরিক্সা চুরি সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া দুইটি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের খপ্পড়ে পড়ে গত ২৬ জানুয়ারি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ইসমাইল শেখ (৪৫) ও কালুখালী উপজেলার সুজন পাঠান (২৪) নামে দুই অটোরিক্সা চালক মারা যান। চক্রের সদস্যরা কৌশলে তাদেরকে অজ্ঞান করে তাদের ইজিবাইক দুটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও কালুখালী থানায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ হতে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ক্লুলেস এ ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ আশিক ওরফে আকাশ মাতবর (১৯), মোঃ রবিন হোসেন (২২), মোঃ নিজাম উদ্দিন ওরফে সালমান (৩০), মোঃ আকরাম হোসেন (২৬) ও মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৬)।

পুলিশ গত কয়েকদিন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা চালকদের অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরির কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায়।রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং জেলার পাংশা সার্কেলের

এএসপি সুমন কুমার সাহা ও কালুখালী থানার ওসি মোঃ নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে এসআই মোঃ হাসানুজ্জামানসহ পুলিশের চৌকস আভিযানিক দল ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেন।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বুধবার সকাল ১১টায় জেলা সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো জানান।

গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ সুপার বলেন, অটোরিক্সা চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত চেতনানাশক দ্রব্য কৌশলে চায়ের সাথে সেবন করিয়ে নিরীহ ইজিবাইক চালকদের অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরি করে আসছে। খুনি চক্রের একজন ভ্রাম্যমান চা বিক্রেতা সেজে চায়ের সাথে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চালককে অজ্ঞান করে। পরে চক্রের অন্য সদস্যরা ইজিবাইকটি নিয়ে সরে পড়ে এবং অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে কেউ কেউ মারা যায়। চক্রটি একই কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরণের আরো বহু অপরাধকর্ম সংঘটন করেছে। মামলা দুটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে পুলিশ  জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ সালাহউদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মঈন উদ্দিন, পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা, ডিআই-১ সাইদুর রহমান, কালুখালী থানার ওসি মোঃ নাজমুল হাসানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love
Link Copied !!