মিরপুরে_আধুনিক_নাট্যমঞ্চ_চাই


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ / ৩৪
মিরপুরে_আধুনিক_নাট্যমঞ্চ_চাই

আসুন, মিরপুর টাউন হল ঘুরে আসি…
এখানে নাটক মঞ্চায়ন হয়, আবৃত্তি হয়, গান হয়, নৃত্য হয়, কবি গানের লড়াই হয়, পুঁথি পাঠের আসর, চিত্র প্রদর্শনী হয়, উন্মুক্ত মঞ্চে পথনাটক হয়, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস, ১লা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী, পঞ্চকবির গানের আসর আরও কত কি যে হয়…
ভিতরের সিনেপ্লেক্সে দেশ ও বিদেশের ক্লাসিক মুভি দেখানো হয় প্রতিদিন। এখানে যে লাইব্রেরী টি আছে সেখানে পাবেন না এমন কোন বই নেই।
আপনি চাইলে ঘুরে যেতে পারেন। মিরপুর -১০ নাম্বার গোল চত্ত্বর। (কল্পনা)

তবে এখানে একটি টাউন হল ছিল এবং সেটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠত হয়েছিল।।

এই মঞ্চে আমি আমার জীবনের প্রথম নাটক শরৎচন্দ্রের “রামের সুমতি” করেছি। তখন মনে হয় ১৯৮৩ সাল। “শিশুকিশোর” শিশু সংগঠনের পরিচালক Tarekh Mintoo (তারেখ মিন্টু) ভাইয়ের নির্দেশনায়। তখন মঞ্চটি দেখে মুগ্ধতায় আমার চোখ আন্ধহবার জোগাড় হয়েছিল। সামনে পর্দাটা নিজে নিজে মাঝখান থেকে ভাগ হয়ে দুই দিকে চলে গেল, তারপরে আরও একটি পর্দা, সে পর্দাটিও আস্তে আস্তে উপরে উঠে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। চোখের সামনে একটা আস্ত ফুটবল খেলারা মাঠের মত মঞ্চ আমাকে বিমোহিত করেছিল। তারপর, একে একে আব্দুল মতিন খান এর “লালু”। রবীন্দ্রনাথের “ছুটি”। মিহির দত্তের ” সবাই রাজা”। এমন বেশ কিছু নাটকের শো করেছি শিশু সংগঠনে থাকতে।
সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায় এর “মইধর বাদশা” “পেজগী” “একাত্তুরের যুদ্ধ ” ও “দালাল” সহ দলের সম্মেলন সবই এখানে করেছি বহুবার।
থিয়েটার এর “সাতঘাটের কানাকড়ি” “জমিদার দর্পন” নাটকের শো করেছি এখানে।
অগনিত নাটক দেখেছি মিরপুর ও মিরপুরের বাইরের দলের। আমার জীবনের প্রথম কমার্শিয়াল নাটকের শো এই মঞ্চেই দেখেছি।
আর এখন…
আন্দোলন করছি একটি মঞ্চের জন্য
২০০১ সংস্কারের নামে পরিত্যক্ত ঘোষণা, ২০০৫ সালে বহুতল মার্কেট নির্মানের পায়তারা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করা এবং সেই থেকে মঞ্চের দাবীতে আছি… (এটি বাস্তবতা)

Spread the love
Link Copied !!