অভয়নগরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে নাইমা খাতুন (৭), কে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষের
ভিড় হয় শিশু নাইমার বাড়ি। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিশু মেয়ে নাইমার সাথে পাশ্ববর্তী আমজাদ নামের একজনের সাথে দোস্ত বন্ধুর সম্পর্ক ছিলো, যে জন্য ৭ আগষ্ট রবিবার বিকেলে মা’কে বলে দোস্তকে পিয়ারা দিয়ে আসি, এই বলে মেয়েটি চলে যায়, আর ফিরে আসেনি। পরে সন্ধ্যার সময় নাইমাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়না। পরিবারের সদস্যরা আমজাদের কাছে গেলেও সে বলে আমি জানিনা।
তার পর পরিবারের সকলে ও গ্রামবাসী টর্চ লাইট নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। মেয়েটি বড় চাচা রফিক এলাকার লুৎফরের পরিত্যক্ত ঘেরের কচুরীপানার মধ্যে মেয়েটি একটি হাতের অংশ দেখে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী শিশু মেয়ে নাইমার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। অভয়নগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠান। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই এলাকার কোরেশ মোল্লার ছেলে আমজাদ মোল্লাকে আটক করেছে।
ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে যশোর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কাজ শুরু করেছে। মৃত নাইমা খাতুনের বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনিআরো বলেন, আমার বোনকে হত্যাকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই। ঘটনা শুনে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুলসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন:মিস ইউনিভার্স চিরন্তন প্রথার পরিবর্তন
অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, শিশু মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে বিস্তারিত। এই ঘটনা তদন্তে আমাদের একাধিক টিম ইতিমধ্যে কাজ শরু করেছে।
[…] অভয়নগরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা… […]